জনগণ কে সকল ক্ষমতাও আইনের উৎস মানা ঈমান পরিপন্থী,কেননা ইসলামী আকিদা বিশ্বাসে আল্লাহকেই সর্বময় ক্ষমতার উৎস স্বীকার করা হয় এবং বিধান দেয়ার অধিকার একমাত্র আকল্লাহর।
প্রচলিত গণতন্ত্রে জনগণকেই সকল ক্ষমতার উৎস এবং জনগণ করতৃক নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কে আইন বা বিধানের অথরিটি বলে স্বীকার করা হয়,তাই প্রচলিত গণতন্ত্র এর ধারনা ঈমান আকিদার পরিপন্থি ।
গণতন্ত্র ও সমাজতনত্রে তন্ত্রমন্ত্র কে মুক্তির পথ মনে করা এবং একথা বলা যে,ইসলাম সেকেলে মতবাদ,এর দ্বারা বিজ্ঞানের চরম উৎকর্ষের এই যুগে উন্নতি অগ্রগতি সম্ভব নয়,এটা মনে করা কুফরি।
ধর্ম নিরপেক্ষতার অর্থ কি ? ধর্ম নিরপেক্ষতার অর্থ যদি হয় কোন ধর্মে না থাকা, কোন ধর্মের পক্ষ অবলম্বন না করা,কোন ধর্মকে সায় না দেয়া তা হলে এটা হবে কুফরি মতবাদ,কেননা ইসলাম ধর্মে থাকতেই হবে,ইসলামের পক্ষ গ্রহণ করতেই হবে,ইসলামী কার্যক্রম কে সরথন দিতেই হবে।আর ধর্মনিরপেক্ষতার অর্থ যদি হয় রাষ্ট্রীয় ভাবে ইসলামকে প্রতিষ্টিত না করা তাহলে সে ধারনা ও ইসলামি আকিদা বিশ্বাসের পরিপন্থী,কেননা ইসলামি আকিদা বিশ্বাসে ক্ষমতা ও সামরথ্য থাকলে ইসলামি খেলাফত প্রতিষটা করা ফরয,আর কোন ফরয কে অস্বীকার করা কুফরি। যদি ধর্মনিরপেক্ষতার অর্থ শুধু এতটুকু হয় যে,সকল ধর্মাবল্ম্বীরা নিজ নিজ ধর্ম কর্ম পালন করতে পারবে, জোর জবরদস্তি করে কাউকে অন্য ধর্মে প্রবেশ করানো যাবে না তাহলে এত টুকু ধারণা ইসলাম পরিপন্থি হবে না ।
ডারউইন এর মতবাদ বিশ্বাস করা কুফরি। একথা মানা যে এক পর্যায়ে বানর থেকে মানুষ সৃষ্টি হয়েছে এ রুপ বিশ্বাস ইসলাম ও ঈমান পরিপন্থি । ইসলামী আকিদা বিশ্বাসে আল্লাহ নিজ হাতে সর্ব প্রথম হযরত আদম(আঃ)কে সৃষ্টি করেছেন এবং তার থেকেই মনুষ্য জাতির বিস্তৃতি ঘতেছে।
ইসলাম মসজিদের ভিতর সীমাবদ্ব থাকবে, ইসলাম ব্যক্তিগত ব্যাপার, ব্যক্তিগত জীবনে এটা কে সীমাবদ্ব রাখতে হবে,সমাজ বা রাষ্ট্রীয় জীবনে এটাকে টেনে আনা যাবে না এরুপ বিশ্বাস করা কুফরি। কেননা ইসলামি আকিদা বিশ্বাস অনুযায়ি কোরআন হাদিসে তথা ইসলামে মানুষের ব্যক্তিগত, সামাজিক রাষ্ট্রীয় যাবতীয় ক্ষেত্রে সকল বিষয়ে শাশ্বত সুন্দর দিক নির্দেশনা রয়েছে।
নামায রোযা হজ্জ যাকাত পর্দা সহ অন্যান্য ফরজ কে ফরয হিসেবে না মানা,এবং গান বাদ্য সুদ ঘুষ ও হারাম কে বৈধ জানা,এবং এগুলো কে মুলভিদের বারাবারি মনে করা কুফরি,কেননা কোন ফরয কে অস্বীকার করা এবং হারাম কে জায়েয মনে করা কুফরি ।
টুপি,দাড়ি,পাগড়ি,মাদ্রাসা,মসজিদ,আলেম,ওলামাদেরকে তুচ্ছ জ্ঞান করা,এবং এগুলো কে হেয় দৃষ্টিতে দেখা,ও এ গুলো নিয়ে ঠাট্রা বিদ্রূপ করা মারাত্বক গুমরাহী কাজ,ইসলামের কোন বিষয় তা যত সামান্যই হোক না কেন তা নীয়ে ঠাট্যা বিদ্রুপ করলে ঈমান নষ্ট হয়ে যায়।
বিঃদ্রঃ এ গ্রন্থে যে সব বিষয় কে কুফরি বলা হয়েছে কার মাধ্যে তা পাওয়া গেলে তাকে কাফের বলা যাবে না। কেননা কুফরের বিভিন্ন স্তর রয়েছে। যদি সব স্তরের কুফরি ও গুমরাহী কার মাঝে পাওয়া যায় তবে সে পথভ্রষ্ট ও গুমরাহ, এবং আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের বহিরভুত। তবে কুফরের কোন আলামত কার মাঝে পাওয়া গেলে তাকে কাফের বলে ফতওয়া দেয়া যাবে না ।বরং বিজ্ঞ আলেমদের নির্ণয়ের দ্বারা নির্দারিত হবে ।