শান্তিময় সমাজগঠনে পর্দার বিকল্প নেই, পর্দা একটি ফরজ বিধান এর প্রতি সকল নর-নারীর যত্নবান হওয়া আবশ্যক। হযরত উমর রাঃ একবার নবীজির কাছে আবেদন করে বলেন ইয়া রাসুল আল্লাহ আপনার কাছে বিভিন্ন লোক আসা যাওয়া করে আপনার স্ত্রীদেরকে পর্দার আদেশ দিলে খুবই ভালো হতো
এই প্রেক্ষাপটেই সুরা আহযাবের ৫৩ নং আয়াত দ্বারা পর্দার বিধানের সুচনা হয়।
পুরুষগণ নিম্নে বর্নিত ১৪ শ্রেণির নারীর সাথে দেখা সাক্ষাৎ করতে পারবে এবং তাদেরকে বিবাহ করা হারাম।
১| নিজের মা ২| আপন দাদী নানী ও তাদের উপরস্ত মহিলাগণ
৩| সহোদর বোন, বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় বোন।
৪| নিজ মেয়ে, ছেলের কন্যা, মেয়ের কন্যা, এবং তাদের গর্ভের যে কোন কন্যা সন্তান ও নিজের ছেলের সন্তানদের পত্নী।
৫| যে বিবির সাথে সহবাস হয়েছে তার আগের বা পরের স্বামীর কন্যা সন্তান এবং তার মা নানী দাদী।
৬| পিতার আপন বোন তথা ফুফু যদিও বৈমাত্রেয় বৈপিত্রেয়। ৭| খালা মায়ের আপন বোন যদিও বৈমাত্রেয় বৈপিত্রেয় বোন।
৮| ভাতিজী আপন ভায়ের কন্যা, বৈমাত্রেয় বৈপিত্রেয় ভায়ের কন্যা বা তাদের নিম্নস্তরের কন্যা সন্তান। ৯| ভাগ্নী, বৈমাত্রেয় বৈপিত্রেয় বা নিজ বোনের মেয়ে এবং তাদের অধঃস্তন কন্যা সন্তান।
১০| দুধ সমপর্কীয় কন্যা, মেয়ের কন্যা, ছেলের মেয়ে,তাদের নিম্নস্তরের যেকোন কন্যা সন্তান এবং দুধ সমপর্কীয় ছেলের স্ত্রী।
১১| দুধ সমপর্কীয় মা, খালা ফুফু নানী দাদী ও তাদের উপরের মহিলাগণ
১২| দুধ সমপর্কীয় বোন, দুধবোনের কন্যা বা দুধভায়ের মেয়ে এবং তাদের গর্ভজাত যে কোন কন্যা সন্তান।
১৩| এমন কামাসক্তহীন বৃদ্বা যার প্রতি পুরুষের আকর্ষন নেই।
১৪| অল্প বয়স্কা বালিকা যার প্রতি পুরুষের যৌন আর্কষন তৈরি হয়নি।
♦উপরে উল্লেখিত শেষ দুই প্রকার নারীর সাথে বিবাহ জায়েয।
♦উপরে বর্ণিত নারী ছাড়া পুরুষের জন্য অন্য নারীর সাথে দেখা সাক্ষাৎ নাজায়েয ও হারাম।
সুত্র- সুরা নিসা ২৩ আয়াত, তাফসিরে নাযহারী ২/২৫৪ , তাফসীরে মায়ারিফুল কোরআন ২/৩৫৬- ৩৬১.