Friday, March 29, 2024
No menu items!
Homeসালামসালামের প্রচলন এর ক্ষেত্রে অনৈসলামিক সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ। পর্ব-৪

সালামের প্রচলন এর ক্ষেত্রে অনৈসলামিক সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ। পর্ব-৪

সালামের পদ্ধতি

সালামের প্রচলন এর ক্ষেত্রে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন,


يسلم الصغير علي الكبير ، والمارعلي القاعد، والقليل علي الكثير والراكب علي الماشي


ছোটরা (বয়সে) বড়দের কে , চলন্ত ব্যক্তি বসা ব্যক্তিকে, বড় দলের দায়িত্ব হবে ছোট দলকে , এবং আরোহী ব্যক্তি সালাম করবে পায়চারি ব্যক্তিকে। [আবু দাউদ শরীফ ]

বার বার সালাম

মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন,

اذا لقي أحدكم أخاه فليسلم عليه فإن حالت بينهما شجرة أو جدار أو حجر ثم لقيه فليسلم عليه


তোমাদের মাঝে কেউ আপন ভাইয়ের সাথে মিলিত হলে সে তার ভাইকে সালাম করবে। এমনকি (একবার সাক্ষাতের বিনিময়ের পর) দু’জনার মাঝে দেয়াল, বৃক্ষ, পাথরখণ্ডের প্রতিবন্ধকতায় দূরত্ব সৃষ্টি হলে পুনরায় আবার যখন সামনাসামনি হবে তখন আবারও সালাম করবে। (আবু দাউদ শরীফ)


এই হাদিসের ব্যখ্যা হল, কোনো ব্যক্তি স্থান পরিবর্তন করে তাৎক্ষণিকভাবে পুনরায় সে স্থানে প্রত্যাবর্তন করলে আবার সালাম দিয়ে তথায় যেগদান করতে হবে। এমনিভাবে পথিমধ্যে বা বাজারে ক্ষণিক পরপর একই ব্যক্তির সাথে একাধিকবার সাক্ষাৎ হলে তাকেও বার বার সালাম দেওয়া উচিৎ।

আগমন ও প্রত্যাগমণে সালামের প্রচলন।

মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন,


اذا انتهي أحدكم الي المجلس فليسلم فإذا أر اد أن يقوم فليسلم فليست الأولي باحق من الا خرة


তোমাদের মাঝে কেউ কোনো মজলিসে উপস্থিত হলে তার উচিৎ (উপস্থিত লোকদের) সালাম করা। আবার যখন প্রত্যাবর্তন করবে তখনও উচিৎ সালাম করে বিদায় নেয়া। কেননা, আগমনের সালাম প্রত্যাগমণের সালামের চেয়ে অপরিহার্য নয়।
[আবু দাউদ শরীফ ]
এর অর্থ হল- আগমনকালে সালাম করা যেমনি অপরিহার্য, প্রত্যাগমণকালেও সালাম ঠিক তদ্রূপ অপরিহার্য।

দলবদ্ধ লোকদের সালাম

মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন,

يجزئ عن الجماعة اذا مروا أن يسلم أحدهم ويجزئ عن الجلوس أن يردا احدهم


সালামের প্রচলন এর ক্ষেত্রে দলবদ্ধ ভাবে বের হলে দলের পক্ষ থেকে একজনের সালাম সকলের জন্য যথেষ্ট, ঠিক তদ্রূপ অবস্থানকারীদের পক্ষ থেকে একজনের সালামের উত্তর সকলের জন্য যথেষ্ট। [আবু দাউদ শরীফ ]

মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিসের দ্বারা একথা পরিস্কার হয়ে গেল যে, কোনো মজলিসকে বা সমবেতভাবে অবস্থানকারীদের উদ্দেশ্যে দলবদ্ধভাবে আগত লোকদের মধ্য থেকে একজন উচ্চস্বরে সালাম দেয়াই যথেষ্ট। একেবারে প্রত্যেক ব্যক্তির নাম নিয়ে পৃথক পৃথকভাবে সালাম করার কোনো আবশ্যকতা নাই।

এমনিভাবে মজলিসে বা অবস্থান কারীদের পক্ষ থেকে একজনের উত্তর দেয়াই যথেষ্ট। পথিমধ্যে চলার সময় অবস্থানকারীদের বা আগত লোকদের বেলায়ও একই নিয়ম প্রযোজ্য। অর্থাৎ একজন সালাম করবে এবং একজন উত্তর দিবে। প্রত্যেককে সালাম বা প্রত্যেকের উত্তর দেয়ার কোনো আবশ্যকতা নাই।

(আমাদের এই লেখাটি পাকিস্তানের সিদ্দিকী ট্রাষ্ট কর্তৃক প্রকাশিত মাওলানা মনসুরুজ্জামান সিদ্দীকীর একটি উর্দু রেসালা)

বাংলা অনুবাদ করেছেন, দেশবরেণ্য আলেমে দ্বীন
মুফতি ফজলুল হক আমিনী(রহঃ)। এই লেখাটি উৎসর্গ তার রুহের মাগফিরাত কামনায়।

সালাম এর ক্ষেত্রে অনৈসলামিক সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ। পর্ব-৩

আমাদের ফেসবুক পেজে এ যুক্ত হয়ে থাকতে পারেন এবং আমাদের কন্টেন্ট ভিডিও আকারে পেতে আমাদের ইউটিউব চ্যানেল টি সাবস্ক্রাইব করে রাখতে পারেন।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments