Saturday, November 16, 2024
No menu items!
HomeUncategorizedগরিব-মিসকিনদের কেন আজ এই অবস্থা

গরিব-মিসকিনদের কেন আজ এই অবস্থা

কেন তাদের এই অবস্থা: দ্বীন শিক্ষা.কম

কিছু দিন পূর্বের কথা! আমি যখন বাড়ি থেকে আসতে ছিলাম ইতিমধ্যে আমি কমলাপুর স্টেশনে এসে পৌঁছলাম। হঠাৎ করে আমার দৃষ্টি রাস্তার একপাশে গিয়ে পড়ল, দৃশ্যটি দেখে হতভম্ব হয়েছি, আশ্চর্য হয়েছি যে, তিনটি শিশু মুখোমুখি হয়ে একে অপরের সামনে বসে আছে। তাদের সামনে রয়েছে একটি ব্যাগ। তার মধ্যে অল্প কিছু খাবার রয়েছে। যে ব্যক্তির মাঝে বিন্দুমাত্র আকল/বুদ্ধি হলেও রয়েছে সে খুব তাড়াতাড়ি বুঝতে পারবে যে, এই ব্যগটি কোন ডাস্টবিন থেকে কুড়িয়ে আনা হয়েছে। সেটি দেখার পর আমার অন্তরে প্রশ্ন আসলো: কেন তাদের এই অবস্থা?
কেন তারা আজ তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত?
কেন তারা আজ সমাজ থেকে বিতাড়িত?
অথচ অপরদিকে ধনীরা ভোগবিলাস, আনন্দ-উল্লাসে ব্যস্ত। তারা তাদের সম্পত্তি খেলাধুলা এবং গান-বাদ্যের মধ্যেই ব্যয় করছে। তারা কি পারে না যে, এই সমস্ত গরীবদের পাশে দাড়িয়ে তাদের ধন-সম্পদ টাকা-পয়সা দ্বারা সাহায্য করতে। এ সমস্ত অবস্থা থেকে কি তাদের অন্তর একটুও নরম হয় না?
তাদের মতো কি তাদের ছোট ছোট সন্তানাদি নেই?
রক্ত মাংসের দিক থেকে তারা কি তাদের মতো নই?
কেন এ সমস্ত ধনীরা ফকির মিসকিনদের হক আদায় করছে না?
অথচ আল্লাহ তাআলা ধনীদেে উপর ফকির মিসকিনের হক নির্ধারিত করেছেন।
আল্লাহ্ পাক বলেন,

‎وَالَّذِينَ فِىۤ أَمْوَٰلِهِمْ حَقٌّ مَّعْلُومٌ * لِّلسَّآئِلِ وَالْمَحْرُوم
ِ [سورة المعارج: الآيتان 24-25]

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, তোমরা বেশি-বেশি সদকা করো। কেননা সদকা, দান-খয়রাত মিসকিনদের হক।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন,

أخرجه البخاري في “صحيحه” (5353) ، ومسلم في “صحيحه” (2982) ، من حديث أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:( السَّاعِي عَلَى الأَرْمَلَةِ وَالمِسْكِينِ ، كَالْمُجَاهِدِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ، أَوِ القَائِمِ اللَّيْلَ الصَّائِمِ النَّهَارَ )

যদি আজ ধনাঢ্যশীলরা তাদের সম্পদ থেকে যাকাত ইত্যাদি আদায় করতো তাহলে আজ ফকির-মিসকিন এবং দরিদ্রদের এই হাল-অবস্থা হতো না।
ছোট-ছোট শিশু সন্তানরা রাস্তা-ঘাটে পড়ে থাকত না।
তাদের আজ খোলা আসমানের নিচে ঘুমাতে হতো না। তারাও কোনো না কোনো ছাদের নীচে ঘুমমানোর সুযোগ পেতো। তারা বিভিন্ন গাছ তলায় রাত কাটতো না। তাদেরও একটি সুখের ব্যবস্থা হয়ে যেত।
সুতরাং হে ধনীগন! আসো তোমরা মানুষত্ব্য নিয়ে আবারো আসো। তাহলেই হবে বাংলাদেশ সমস্ত দিক থেকে একটি আদর্শ নগর। হবে শান্তি নগর। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে তৌফিক দান করুক। আমিন।

নাজমুল হাসান সাকিব
ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বাংলাদেশ, বসুন্ধরা, ঢাকা।
.

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments