মরণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রকোপ দিন দিন বাড়ছে। সেই সাথে বাড়ছে অসহায়, গরীব, খেটে খাওয়া মানুষগুলোর দূর্ভোগ। তিন বেলা পেটে অণ্য যোগানোই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। অসহায় এসব মানুষদের পাশে দাড়ানোটা এখন সমাজের সামর্থবানদের কর্তব্য। সহযোগিতার জন্যে অর্থের চেয়ে ইচ্ছাটাই আসল।
হাড়কাঁপানো শীতে যে বিপুল জনগোষ্ঠী বর্ণনাতীত দুঃখ-কষ্টে-অনাহারে ও অর্ধাহারে দিন যাপন করছে, তাদের পাশে দাঁড়ানো ধর্মপ্রাণ মানুষের নৈতিক দায়িত্ব।
ধর্ম-বর্ণ, দলমত-নির্বিশেষে সমাজের ধনাঢ্য ও বিত্তবান ব্যক্তিদের শীতার্ত বস্ত্রহীন মানুষের পাশে অবশ্যই দাঁড়াতে হবে। নবী করিম (সা.) মানুষকে অন্ন ও বস্ত্রদানের পরকালীন পুরস্কারপ্রাপ্তির কথা বলেছেন, ‘এক মুসলমান অন্য মুসলমানকে কাপড় দান করলে আল্লাহ তাকে জান্নাতের পোশাক দান করবেন। ক্ষুধার্ত অবস্থায় খাদ্য দান করলে আল্লাহ তাকে জান্নাতের সুস্বাদু ফল দান করবেন। কোনো মুসলমানকে তৃষ্ণার্ত অবস্থায় পানি পান করালে আল্লাহ তাকে জান্নাতের সিলমোহরকৃত পাত্র থেকে পবিত্র পানি পান করাবেন।’ (আবু দাউদ)
সেইদিকে চিন্তা করে Dinshikkah.com এর আয়োজনে যুবসমাজের উদ্যেগে স্বল্প পরিসরে
কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার বায়নগর গ্রামে জাপান প্রবাসী ও দেশের কিছু হৃদয়বান মানুষের সহয়তায় আমরা অসহায় ও গরীবদের মাঝে শীতকালীন সময়ে ” শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলাম এবং ৮.০১.২০২১ ইং তারিখে বিতরণ করে আল্লাহপাকের অশেষ কৃপায় সফলও হয়েছি “
দুস্থ ও আসহায় মানুষের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ কর্মসূচী সফল করতে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন
১.দ্বীন শিক্ষা.কম এর পরিচালক বৃন্দ
দ্বীন শিক্ষা.কম এর এই আয়োজন কে সুন্দর এবং সুষ্টভাবে আয়োজন করতে যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তারা হলেন-
১. রাসেল আহমদ
২. আবু বকর
৩. আল আমিন
৪.মুফাসসাল
এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিদের ভিতরে যারা এই কর্মসূচি সফল হওয়ার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন-
১.মাওলানা আনোয়ার উল্লাহ সাহেব (প্রিন্সিপাল জামিয়া ইসলামিয়া আতিকিয়া বায়নগর মাদ্রাসা)
২. মুফতি আমিন সাহেব ( ইমাম ও খতিব, বায়নগর পূর্বপাড়া জামে মসজিদ)
৩.মুস্তাক চেয়ারম্যান
৪.গিয়াস উদ্দিন মেম্বার
৫. বাচ্চু মুঞ্জি
৬.আব্দুল লতিফ মোল্লা ( জুলহাস মোল্লা)
৭. শফিক মোল্লা
৮. মাও. মোসলেহ উদ্দীন মোল্লা
৯.দ্বীন শিক্ষা.কম এর পরিচালক বৃন্দ এবং এলাকার এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
এই সেবার মন-মানসিকতা নিয়েই আমাদের সামনের দিকে অগ্রসর হতে হবে এবং হিংসা বিদ্বেষ ভূলে মানবতার কল্যাণে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, আমাদের এই মহৎ কর্মসূচি… ।
যত বেশি স্বেচ্ছাসেবী মনোভাব মানুষের মধ্যে তৈরি হবে, যত বেশি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো সক্রিয় থাকবে মানুষের সংকীর্ণতা তত বেশি কমে যাবে, মানুষ তত বেশি উদার হবে, মানুষের পরোপকারী মনোভাব তত বেশি বাড়বে।
আমরা আপনাদের দান ও অক্লান্ত পরিশ্রমকে ছোট করতে চাই না, শুধু এতটুকুই বলতে চাই যে, আল্লাহর রাসূল সা. বলেছেন, যারা যমিনের অধিবাসীদের প্রতি দয়া করবেন, আসমানের মালিক আল্লাহ তাআ’লাও তাদের প্রতি দয়া করবেন।
আল হাদিস
আল্লাহ যাতে হাশরের কঠিন মুহুর্তে আমাদের প্রতি দয়া করেন এই প্রত্যাশা নিয়েই আজকের প্রবন্ধ শেষ করছি।
যুগ যুগ ধরে টিকে থাকুক এই ভাল কাজগুলো আর মুছে যাক মিথ্যার অন্ধকারগুলো।