Saturday, November 16, 2024
No menu items!
Homeইসলামিক জীবন ব্যবস্থাইসলামের নীতিমালা - সৃষ্টির উদ্দেশ্য

ইসলামের নীতিমালা – সৃষ্টির উদ্দেশ্য

ইসলামের নীতিমালা ১ম পর্ব

১ম নীতিমালা সৃষ্টির উদ্দেশ্য

আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ  وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْإِنْسَ إِلَّا لِيَعْبُدُونِ

 “আমি জিন এবং মানুষকে কেবল এ জন্যই সৃষ্টি করেছি যে, তারা আমার ইবাদাত করবে”। (যারিয়াত ৬৫)

নবী রাসূল গণের মাধ্যমে আল্লাহতায়ালা যে বিধি-বিধান অবতীর্ণ করেছেন তা পালন করার নামই হচ্ছে ইবাদাত। আর প্রত্যেক জাতির কাছে আল্লাহতায়ালা রাসূল পাঠিয়েছেন।

আল্লাহতায়ালা বলেন, وَلَقَدْ بَعَثْنَا فِي كُلِّ أُمَّةٍ رَسُولًا أَنِ اُعْبُدُوا اللَّهَ وَاجْتَنِبُوا الطَّاغُوتَ

 “নিশ্চয়ই প্রত্যেক উম্মতের নিকট কোনও না কোন রাসূল পাঠিয়েছি এই পথ-নির্দেশ দিয়ে যে, তোমারা আল্লাহর ইবাদাত কর এবং তাগূতকে বর্জন কর” (সূরা নাহল-৩৬)

আল্লাহতায়ালা আরো বলেন,  وَإِنْ مِنْ أُمَّةٍ إِلَّا خَلَا فِيهَا نَذِيرٌ

 “এমন কোন জাতি নেই যাদের কাছে কোন সতর্ককারী আসেনি” (সূরা ফাতির-২৪)

উদ্দেশ্য হচ্ছে, যাতে আদমের সৃষ্টি হতে কিয়ামত দিবস পর্যন্ত সকল সৃষ্টির উপর তার  দলিল প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। আল্লাহতায়ালা বলেন,

رُسُلًا مُبَشِّرِينَ وَمُنْذِرِينَ لِئَلَّا يَكُونَ لِلنَّاسِ عَلَى اللَّهِ حُجَّةٌ بَعْدَ الرُّسُلِ

 “এ সকল রাসূলগণ এমন, যাদেরকে (সওয়াবের) সুসংবাদদাতা ও (জাহান্নাম সম্পর্কে) সতর্কবানীরূপে পাঠানো হয়েছিল। যাতে রাসূলগণের আগমনের পর আল্লাহর সামনে মানুষের কোন অজুহাত বাকি না থাকে। আল্লহর ক্ষমতাও পরিপূর্ণ, হিকমতও পরিপূর্ণ” (সূরা নিসা-১৬৫)

রাসূলদেরকে পাঠানো হয় তাদের সমকালীন উম্মতের কাছে। এরপর তার অনুসারীদের মধ্য থেকে আলেমগণ পরবর্তীদের কাছে রাসূলদের বার্তাসমুহ পৌছে দেন। আল্লাহতায়ালা বলেন,

وَمَا كَانَ رَبُّكَ مُهْلِكَ الْقُرَى حَتَّى يَبْعَثَ فِي أُمِّهَا رَسُولًا يَتْلُو عَلَيْهِمْ آَيَاتِنَا

 “তোমাদের প্রতিপালক এমন নন যে, তিনি জনপদ সমূহকে ধ্বংস করে দিবেন তার কেন্দ্রভূমিতে আমার আয়াত পড়ে শুনানোর জন্য কোন রাসূল প্রেরণ না করেই”। (সূরা কাসাস- ৫৯)

অতঃপর তার মৃত্যুর পর তার অনুসারীগণ তা পৌঁছানোর দায়িত্ব পালন করেন। যাতে সৃষ্টি জগতের মাঝে আল্লহ তা’আলার প্রমান সর্বদায় বহাল থাকে।

যেমনঃ রাসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ليبلغ الشاهد منكم الغايب  “তোমাদের উপস্থিত লোকেরা যেন অনুপস্থিতদের নিকট পৌছে দেয়”। (বুখারী শরীফ)

তিনি আরো বলেন بلغوا عني ولو آية  

“আমার পক্ষ থেকে একটি বাণী হলেও অপরের নিকট পৌছে দাও”। (বুখারী শরীফ)

তিনি আরো বলেন وان العلماء ورثة الأنبياء

“আলেমগণ হলেন নবীদের ওয়ারিস” (ইবনে মাজাহ)

তিনি আরো বলেন,

لاتزال طائفة من أمتي قائمة بأمرالله

“আমার উম্মতের একটি দল সর্বদা হক্বের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে” (মুসলিম শরীফ)

এই সকল হাদীসগুলোই সহীহ। আর আমরা জানি, ইবাদাত সংক্রান্ত আদেশ গুলো হলো শরয়ী আদেশ। অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা রাসূলের যবানীতে এগোলো বিধিবদ্ধ করেছেন। এগুলোকে বলা হয় দ্বীনের পালনীয় বিধান।

তবে এই আহ্বানে সবাই সাড়া দিবে এমনটা নয়। সারকথা হল, আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টিজীবকে তার ইবাদাতের জন্য সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর তাদেরকে রাসূলদের মাধ্যমে উক্ত ইবাদাতের আদেশ করেছেন। এর পর সৃষ্টিজীব কখনো তার ইবাদাত করে আবার কখনো করেনা ।

চলবে……………

২য় পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন।  

আমাদের ফেসবুক পেজে এ যুক্ত হয়ে থাকতে পারেন এবং আমাদের কন্টেন্ট ভিডিও আকারে পেতে

আমাদের ইউটিউব চ্যানেল টি সাবস্ক্রাইব করে রাখতে পারেন।

কুরবানী এর টাকা গরিব-মিসকিনদের মাঝে দান করে দিলে কুরবানী আদায় হবে কি?

RELATED ARTICLES

Most Popular

Recent Comments