Saturday, November 16, 2024
No menu items!
Homeইমানকাদিয়ানীদের ভ্রান্ত আক্বিদা

কাদিয়ানীদের ভ্রান্ত আক্বিদা

কাদিয়ানীদের লিখিত পুস্তাকাদী থেকে নেয়া কোরআন ও হাদিস বিরোধী কতিপয় কুফুরি আক্বিদা।   

কাদিয়ানীরা বলে, নবুয়াতের সিলসিলা হযরত মুহাম্মাদ সা পর্যন্ত শেষ নয়, এবং তিনি শেষ নবী নন, এবং তার পরও নবুওয়াতি মিশনের কাজ চলতে থাকবে নবুওয়াতের সিলসিলা ও দাবীর প্রেক্ষিতে মির্জা গোলামের বক্তব্য হলো, আমিও পূর্ববর্তি নবীগণের মতো একজন নবী, যে ব্যক্তি আমার নবুওয়াতকে অস্বীকার করবে সে মুসলমান নয়, সে হলো কাফির। হাক্বীক্বাতুল ওহী ১৭৯ ।  

কাদিয়ানীদের বিশ্বাস, মীর্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী হলেন, আল্লাহর পক্ষ থেকে মনোনিত পয়গম্বর যে ব্যক্তি এ আক্বিদা পোষণ করবেনা সে জাহান্নামী ও কাফের। স্বরচিত আয়নায়ে সদাকাত-৩৫ । 

কাদিয়ানীদের দাবী, হযরত মোহাম্মদ সা এর এই পৃথিবীতে দুবার আগমন বা পদার্পণ নির্ধারিত ছিল, প্রথম বারের মত তিনি মক্কা শরীফে আগমন করেছিলেন এবং প্রথম বারের নবুয়াতের অর্পিত দায়িত্ব ও পরিধি ছিল ১৩০০ শতাব্দি পর্যন্ত। অতপর ১৪০০ শতাব্দির শুরুতে তিনি কাদিয়ানী নগরীতে দ্বিতীয় বার প্রেরিত হয়েছে। নাউজুবিল্লাহ। সুতারাং তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী মীর্জা নিজেই মোহাম্মাদ সা, তাই তারা কালিমায়ে মোহাম্মাদ দ্বারা মীর্জা গোলাম কাদিয়ানীকে বুঝে থাকে নাউজুবিল্লাহ । চশমায়ে মারেফাত-৭৯

 কাদিয়ানীদের বিশ্বাস, সুরা আল ইমরানের- ৩১ নং আয়াত।  সুরা বানি ইসরাইল এর- ১ নং আয়াত। সুরা ছফ এর-৬ নং আয়াত মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর শানে নাযিল হয়েছে। নাউজুবিল্লাহ।  তাজকিয়ায়ে ওকাদি করতিক কোরানের অনুবাদ। 

মীর্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী বলে কোরআন ভুপৃষ্ট থেকে উঠে গিয়ে ছিল আমি নতুন করে কোরআনকে আসমান থেকে নিয়ে এসেছি,   এজালায়ে হাওয়া-৫ম মুদ্রণ ২৯৭ পৃষ্টা 

কাদিয়ানীরা বলে কাদিয়ান শহরে আগমন করা হজ্জও জিয়ারত সমতুল্য বর্তমান মক্কাতে হজ্জের পূর্ণ উদ্দেশ্য পুরা হয় না।   পয়গামে সুলাহ-৩ ২২ পৃষ্টা । 

 মীর্জা বলে, আমার আগমনে প্রত্যেক নবী জীবন লাভ করেছে সমগ্র রাসুলগণ  আমার জামার মাঝে লুকিয়ে আছেন। নুযুলে মসীহ -১০০ 

গোলাম কাদিয়ানী লিখে, দুনিয়ায় অনেক নবী আগমন করেছেন কিন্তু কেউ মারেফতে অগ্রগামী হতে পারেনি, সকল নবীগণকে সামগ্রীকভাবে যা কিছু দেওয়া হয়েছে, সম্পুরন্যরূপে তা একক ভাবে আমাকে দেওয়া হয়েছে।   স্বরচিত ‘দুররে ছামীন’ ১৮৭/১৮৮ । 

মীর্জা বলে, আমি মোহাম্মদ সা থেকেও উত্তম, কেননা তার তরে শুধু চন্দ্র গ্রহন করেছিল আর আমার জন্য চন্দ্র সূর্য গ্রহন উভয়টাই হয়েছিল। আর মোহাম্মদ সা এর মুজেযা ছিল তিন হাজার,আর আমার মুজেযা হল দশ লাখ।       বারাহীনে আহমাদী- ৫ম খন্ড ৫৬ পৃষ্ট । 

মীর্জার দাবী, আল্লাহ তায়ালা আমাকে বলেছেন যে যদি তোমাকে সৃষ্টি না করতাম তবে আসমান জমিন কিছুই সৃষ্টি করতাম না।    হাকীকাতুল ওহী- ৯৯ 

কাদিয়ানীদের আক্বিদা, আল্লাহর মিথ্যা বলা সম্ভব, যার প্রমাণ তার নবী হযরত ঈসা আঃ এর তিনটি ভবিষ্যদ্বাণী অবাস্তব এবং মিথ্যা প্রমানীত হয়েছে । মাকতাবাতে আমহদিয়া- ৩/২১

মীর্জা লিখে, আবু বকর ওমর কি ছিলেন । তারা তো হযরত গোলাম আহমদের জুতার ফিতা খুলে দেওয়ার যোগ্য ছিলেন না।     মাসিক আল মাহদি জানুয়ারি ফেব্রু,১৯৯৫ ইংরেজি ।  মীর্জা বলে, দাজ্জাল, খ্রিষ্টান পাদ্রীদেরই একটি দল। এবং ইয়াজুজ মাজুয হল রাশিয়ার এক সম্প্রদায়ের নাম আর আমি হলাম মাসিহ মাওদ । চশমায়ে মারেফত ৭৯

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments