গুহা থেকে মদীনা :
তিনদিন ধরে খোঁজাখুজির পর ব্যর্থ মনোরথ হয়ে কাফেররা একপ্রকার রণে ভঙ্গ দিয়েছিল। আব্দুল্লাহর (আবুবকরের (রাঃ) পুত্র) মাধ্যমে সব খবর জানতে পেরে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এবার ইয়াছরিব (মদিনায়) যাত্রার নির্দেশ দিলেন। এজন্য আবুবকর (রাঃ) পূর্বেই সব ব্যবস্থা করে রেখেছিলেন। দুটি হৃষ্ট-পুষ্ট উট তিনি ঠিক করেছিলেন। তাছাড়া রাস্তা দেখানোর জন্য দক্ষ পথ প্রদর্শক আব্দুল্লাহ বিন আরীক্বত লায়ছীকে উপযুক্ত মজুরীর মাধ্যমে চুক্তিবদ্ধ করে রেখেছিলেন (যিনি পরে মুসলমান হয়েছিলেন)। যদিও সে তখন কাফেরদের দলভুক্ত ছিল। চুক্তি মতে সে চতুর্থ রাত্রিতে দুটি উট নিয়ে যথাসময়ে উপস্থিত । একটি উটে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ও আবুবকর (রাঃ) এবং অন্যটিতে গোলাম আমের বিন ফুহায়রা ( তিনিও পরে মুসলমান হয়েছিলেন) ও পথপ্রদর্শক আব্দুল্লাহ বিন আরীক্বত সওয়ার নেন।
পথ প্রদর্শক আব্দুল্লাহ ইয়াছরিব যাওয়ার পরিচিত পথ ছেড়ে লোহিত সাগরের উপকূলের দিকে ইয়ামনের পথ ধরে চললেন। অতঃপর এমন এক পথে গেলেন, যে পথের সন্ধান সাধারণভাবে কেউ জানত না।
ছওর গুহা থেকে মদীনা :
পথিমধ্যের কিছু ঘটনা
(১) যাত্রাবস্থায় আবুবকর (রাঃ) সর্বদা রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর পিছনে বসেন। কেননা আবুবকরের মধ্যে বার্ধক্যের চিহ্ন প্রকাশ পেয়েছিল। কিন্তু রাসূলের চেহারা-ছূরতে তখনো ছিল যৌবনের চাকচিক্য। তাই রাস্তায় লোকেরা কিছু জিজ্ঞেস করলে মুরববী ভেবে আবু বকর রাঃ কেই করতো। সামনের লোকটির পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলতেন, এ ব্যক্তি আমাকে পথ দেখিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন এর দ্বারা তিনি হেদায়াতের পথ বুঝাতেন। কিন্তু লোকেরা ভাবত রাস্তা দেখানো কোন লোক হবে। এর দ্বারা তিনি রাসূলের পরিচয় গোপন করতেন।