আজকে আমরা জানবো রোযার কাযা ও কাফফারা নিয়। যেগুলোর ক্ষেত্রে আমাদের অনেকেরই অজানা।
কখন রোযা কাযা ও কাফফারা ওয়াজিব হবে?
নিম্নোক্ত দুটি কারণে রোযা ভেঙে যায় এবং কাযা ও কাফফারা উভয়টি ওয়াজিব হয়। আর রোযার কাফফারা হলো, একাধারে ৩০+৩০=৬০টি রোযা রাখা। যদি মাঝখানে একটি রোযাও ছুটে যায় তাহলে পুনরায় নতুনভাবে শুরু করতে হবে।
প্রথম কারণঃ দিনের বেলা ইচ্ছাকৃতভাবে পানাহার করা
দ্বিতীয় কারণঃ দিনের বেলা ইচ্ছাকৃতভাবে স্বামী-স্ত্রী মিলন করা।
রোযার কাফফারা আদায়ের সময় পুনরায় রোযা এসে গেলে?
রোযার কাফফারা আদায়ের সময় ঐ ৬০দিনের মধ্যে যদি পুনরায় রমযান মাস এসে যায় অথবা নিফাস শুরু হয়ে যায় তাহলে রোযার কাফফারা আদায় হবেনা বরং রমযান শেষে বা নিফাস খতম হওয়ার পর পুনরায় রোযার কাফফারা আদায় করতে হবে।তবে হয়েযের কারণে বিরতি হলে কোনো অসুবিধা নাই।
(ফতোয়ায়ে জামেয়া)
বিরতিহীনভাবে ৬০টি রোযা রাখতে সক্ষম না হলে ৬০জন মিসকীনকে তৃপ্তির সাথে দু’বেলা খাওয়াতে হবে অথবা একজন মিসকীনকে দু’বেলা ৬০দিন খাওয়াতে হবে অথবা ৬০জন মিসকীনের প্রত্যেককে এক করে সদকায়ে ফিতর পরিমাণ মাল বা নগদ অর্থ দিতে হবে।
( ফতোয়ায়ে আলমগীরী -১ঃ২০৩পৃ; ফতোয়ায়ে দারুল উলুম -৬ঃ৪২৯পৃ; ফাতহুল কাদীর-২ঃ২৫৪পৃ; হিদায়া-ঃ২১৯পৃ;)